📚 প্রাথমিক শিক্ষায় গল্পভিত্তিক শেখানোর উপকারিতা


📚 প্রাথমিক শিক্ষায় গল্পভিত্তিক শেখানোর উপকারিতা




🔰 ভূমিকা

গল্প শোনা কে না ভালোবাসে? বিশেষ করে ছোটরা! তারা গল্পের মধ্যে ডুবে গিয়ে শেখে না জেনেই শিখে ফেলে।
এই স্বাভাবিক আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে যদি প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান করা যায়, তবে শিশুরা শেখে আনন্দের সাথে — না কোনো ভয়, না কোনো চাপ।


📖 গল্পভিত্তিক শেখানো কী?

গল্পভিত্তিক শেখানো বলতে বোঝায় এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে পাঠ্যবিষয়কে গল্পের রূপে উপস্থাপন করা হয়। এটি হতে পারে মৌখিক গল্প, পিকচার বুক, ভিডিও গল্প বা নাট্যরূপ।


🎯 কেন গল্পভিত্তিক শিক্ষা উপকারী?

১. 🧠 স্মরণশক্তি বাড়ায়

গল্পে যুক্ত ঘটনা ও চরিত্র শিশুর মনে গেঁথে থাকে। ফলে তারা শেখা বিষয়টি সহজে ভুলে না।

২. ❤️ ভয়ের পরিবর্তে ভালোবাসা তৈরি হয়

গল্পের মাধ্যমে শেখানো হলে পড়া মনে হয় না — মনে হয় মজার গল্প শোনা। এতে শেখা আনন্দদায়ক হয়।

৩. 🌱 চিন্তাশক্তি ও কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটে

গল্প শিশুদের কল্পনার জগৎ প্রসারিত করে, যা তাদের সৃজনশীলতা বাড়ায়।

৪. 🗣️ ভাষা ও শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়

গল্পের মাধ্যমে নতুন শব্দ, বাক্য গঠন ও উচ্চারণ শেখা যায় সহজেই।

৫. 📚 বিষয়ের গভীরতা বোঝা যায়

একটি গল্পের মধ্যে বিষয়বস্তুর নানা দিক তুলে ধরা যায়। এতে বিষয়টা শিশুর কাছে আরও অর্থবহ হয়।

৬. 👨‍👩‍👧 অভিভাবক ও শিক্ষকের সংযোগ বাড়ে

শিশুরা যখন গল্প করে পড়ে, তখন তারা নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করে। এতে শিক্ষক বা অভিভাবকের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়।


🏫 Kishalaya Shishu Niketan–এ কীভাবে গল্পভিত্তিক শিক্ষা হয়?

আমরা প্রতিটি ক্লাসে শিশুদের গল্প শুনিয়ে, দেখিয়ে, এমনকি অভিনয় করে শেখাই।
📚 বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের অনেক অধ্যায় গল্প আকারে উপস্থাপন করা হয়।
🎭 শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গল্পভিত্তিক নাটকে অংশ নেয়, চরিত্র ধরে শেখে—যা শেখাকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করে।


✅ শেষ কথা

শিশুদের মনে যদি শেখার আনন্দ জন্মায়, তাহলে তারা আজীবন শিখতে চায়।
গল্পভিত্তিক শিক্ষা শুধু একটি কৌশল নয়—এটি একটি ভালোবাসার মাধ্যম, যা শিশুদের শেখার পথ সহজ করে।  

প্রধান শিক্ষক, কিশলয় শিশু নিকেতন

 


📣 আপনার অভিমত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন
📌 শেয়ার করুন পোস্টটি অন্য অভিভাবক বা শিক্ষক বন্ধুদের সাথে

Post a Comment

Previous Post Next Post